ফিরে দেখা: আমার ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি- অর্ণব রায়
আমাদের ছোটবেলায়, যখন আমি প্রাইমারী স্কুলে পড়ি, সেই সময়টায় পুজো মানেই ছিল বছরের আর পাঁচটা সময়ের চেয়ে একটু অন্য ভাবে থাকা। স্কুলে হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষা হয়েই পড়ে যাবে পুজোর ছুটি। সেই সময় পড়ার বইতে মন বসানো যে কী দুঃসাধ্য ব্যাপার তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত হাওয়ায় ঢেউয়ের মত দুলছে।মাঝে মধ্যে দু একটা কাশফুলের ঝোপের সাদা রং যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে হয়ে যাচ্ছে আকাশের ঝক্ঝকে নীলে ভেসে বেড়ানো ফোলা ফোলা সাদা মেঘের সাথে।এদিকে বাবার কড়া হুকুম “ ‘প্রনবেশ জানা’ র অঙ্কবইয়ের সাত অনুশীলনীর প্রথম পনেরোটা অঙ্ক করে রাখবে।আমি স্কুল থেকে ফিরে দেখব।” কী আর করা, অগত্যা উৎপাদক বিশ্লেষণে মন দিতে হত ঝাপসা চোখে।বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল পড়াতেন ছোটমাসি। আমাদের স্কুলটা ছিল সকাল বেলার স্কুল। সকাল ছটা থেকে দশটা। তারপর বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়ার পর একটু ঘুম। বিকেল হতে না হতেই ছোটমাসি পড়াতে চলে আসতেন। সারা বছর রুটিনটা এরকম থাকলেও পুজোর আগে সব কেমন যেন গোলমাল হয়ে যেত। কেমন যেন একটা মন উড়ু উড়ু ভাব। পাড়ার ক্লাবের পুজোর প্যান্ডেলের