মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি: আমার যেমন 'লেগেছে'- অর্ণব রায়
আগেও দেখেছি, আবারও দেখলাম। টিভি'তে সেদিন প্রথম দেখানো হল ছবিটি। সেই উপলক্ষ্যেই এই লেখার অবতারণা। মনে হল কথাগুলো বলা প্রয়োজন তাই বললাম। প্রথমেই বলি সব মিলিয়ে ছবিটা আমার ‘ ছবি ’ হিসেবে, অর্থাৎ একটা পুরো প্যাকেজ হিসেবে ভালো লাগেনি। সাহিত্য আর সিনেমা দুটো আলাদা মাধ্যম। সেক্ষেত্রে পরিচালক না পেরেছেন বই থেকে আলাদা একটা ফ্লেভার তৈরি করতে, না পেরেছেন একটা টান টান গল্প বলতে। ছোটবেলার ‘ আনন্দমেলা ’ গন্ধি নস্টালজিয়া দিয়ে আর কত টানা যায়। চরিত্রের ঘনঘটা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের লেখায় থাকবেই, সেটাকে সীমিত সময়ে গল্পে ব্যবহার করাই পরিচালকের মুনশিয়ানার পরিচয় দেয়। যা ছবিতে অনুপস্থিত। রানীমার ভূমিকায় অহেতুক আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার ভালো লাগেনি, কারন সেটা আন্তরিক মনে হয়নি। গোয়েন্দা বরদাচরণ হিসেবে ব্রাত্য বাবুর অভিনয় অসহ্য, তৎসহ তাঁর ল্যাংবোটটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বৈজ্ঞানিক, মাস্টারমশাই, গায়ক এদেরও একই সমস্যা। অতিনাটকীয়তার চূড়ান্ত। কাতুকুতু দিয়ে হাসানো, ভীষণ লাউড।কিছু ক্ষেত্রে অপ্রয়জনীয় ভাবে আদি-রসাত্মক, যা