আমাদের 'দেওয়ালী' আর নব্বইয়ের কিছু এলোমেলো স্মৃতি- অর্ণব রায়
কাঠি অ্যান্টেনার সাদা কালো টিভি’র হিন্দি দূষণকে তখনও সিরিয়াসলি নেয়নি বাঙালি, তাই নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা আমরা ‘দীপাবলী’, ‘দেওয়ালী’ কিংবা ‘দিওয়ালী’র তফাৎ বুঝতাম না, তবে আমাদের উত্তরবঙ্গের বাঙালিদের নিজস্ব বাংলায় আমরা ব্যপারটাকে দেওয়ালিই বলতাম। দুর্গোৎসবের দশমীর বুক ফাঁকা ভাবটার ক্ষতের উপরে সামান্য হলেও সান্ত্বনার মলম ছিল দেওয়ালী তথা হৈমন্তিক কালীপূজা। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ের আমার কৈশোর কালে কালীপূজার উৎসবের কাউন্টডাউন শুরু হত লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকেই। লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যাটাকে অপার্থিব মনে হত। হাল্কা কুয়াশার চাদর আস্তে আস্তে নেমে আসছে ঘাসের উপর। গোল থালার মত চাঁদ ধীরে ধীরে উঠছে পুব দিগন্তের পুকুরের পাশের বাঁশঝাড়ের মাথার উপর দিয়ে। বাতাসে হাল্কা রেঙ্গুন ধুপের সুবাস। ঘরে ঘরে শঙ্খধ্বনি আর উলুতে চলছে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। আমরা পাড়ার কচি কাঁচারা সেই চাঁদের আলোয় হেঁটে বেড়াতুম এবাড়ি ওবাড়ি-তিল বা নারকেলের নাড়ু পাবার আশায়। অনেকে আবার বেজায় শক্ত চিঁড়ের নাড়ু দিত আর সেটা আমার একদম অপছন্দ ছিল। ধানক্ষেতের আলপথ ধরে হেঁটে হেঁটে চলে যেতাম মামাবাড়ি। দিদা পুজো করতেন, মাসিরা আসতেন। ভাল লাগত। দাদু দিদা মা